Wednesday, 4 February 2015

কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত রাখুন

কম্পিউটার ভাইরাসের জ্বালাতন সহ্য করেননি এমন ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর তাই ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত থাকাটা জরুরী। যদি এক বা একাধিক ফাইল ভাইরাসে আক্রামত্ম হয়ে থাকে তবে তা প্রথমে অ্যান্টি- ভাইরাস দিয়ে পরিস্কার (ক্লিন) করার চেষ্টা করুন। সব ফাইল যদি পরিস্কান হয় তবে তো ভালো কথা, কিন্তু কিছু ফাইল যদি ক্লিন না হয় তখন সেগুলোকে মুছে (ডিলিট) ফেলুন। ফাইলগুলো যদি আপনার খুব প্রয়োজনীয় হয় তবে সেগুলোকে মুছে না ফেলে কুয়ারানটাইন (এক ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা, যা ভাইরাস আক্রামত্ম ফাইল থেকে ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ রাখে) করে রাখতে পারেন।

যখন কোনো ফ্লপিডিস্ক, সিডি, অতিরিক্ত হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করবেন তখন অটোমেটিক স্ক্যান অপশনটি অবশ্যই এনাবল করে রাখুন।

সব সময় অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করুন এবং সেটি হালনাগাদ করার পর পুরো কম্পিউটারে একবার চালিয়ে নিন।

·      একই অপারেটিং সিস্টেমে কখনোই একাধিক অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে ব্যবহার করবেন না। তবে ইচ্ছা করলে একাধিক অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে কম্পিউটারটি পরীক্ষা করে নিতে পারেন। অনেক সময় একটি অ্যান্টিভাইরাস নতুন কিছু ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে না।

·      একাধিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার পরীক্ষা করতে চাইলে প্রথমে যে অ্যান্টিভাইরাসটি ইনস্টল করেছেন তা দিয়ে সম্পূর্ণ কম্পিউটার পরীক্ষা করে নিন। পরে সেটি আনইনস্টল করে দিয়ে আরেকটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে সম্পূর্ণ কম্পিউটারটি স্ক্যান করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন, একই অপারেটিং সিস্টেমে পাশাপাশি দুটি বা তার অধিক অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা যাবে না।

·      ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে সেইভ মুডে কম্পিউটার চালু করুন এবং তারপর ভাইরাস স্ক্যান অপশনটি চালু করুন।

·      কমিঁউটারে উইন্ডোজ চালু হওয়ার আগে F8 বাটন চাপলে একটি মেনু আসবে এবং সেখান থেকে সেভ মুড নির্বাচন করে এন্টার চাপলেই সেভ মুডে কম্পিউটার চালু হবে।

·      আপনার যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাতে তবে আপনি বড় বড় অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্রার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ভাইরাস স্ক্যান করে নিতে পারবেন।

·      আমাদের দেশে অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। এই সফটওয়্যার গুলো বিভিন্ন উস থেকে আসে ফলে এগুলোতে ভাইরাস থাকার আশষ্কা থাকে। তাই এসব সফটওয়্যার ব্যবহারের আগে তা অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে একবার পরীক্ষা করে নিন।

·      ই-মেইলের সংযুক্ত ফাইল (অ্যাটাচমেন্ট) খোলার আগে সেটিতে কোনো ভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হিসাবে নরটন, ম্যাক-আফি, পিসিসিলিন, ক্যাস্পারস্কাই, এভিজি, অ্যাভাস্ট, বিট ডিফেন্ডার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। 

0 comments:

Post a Comment

 
Sohoz-Tech